কয়েক বছর ধরে রমরমিয়ে চলছিল ভেজাল গুড়ের ব্যবসা। এ বার সেই কারখানায় চলল পুলিশের অভিযান। অভিযোগ, রসগোল্লার পচা রস ব্যবহার করে গুড় তৈরি করা হত। সেই গুড় ছড়িয়ে পড়ত বাজারে। নদিয়ার শিমুরালিতে সেই কারখানায় অভিযান চালিয়ে এক ব্যবসায়ীকে আটক করা হয়েছে। বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে প্রচুর ভেজাল গুড় এবং গুড় তৈরির রাসায়নিক।?
বেশ কিছু দিন ধরেই ভেজাল গুড় বিক্রির অভিযোগ আসছিল জেলা প্রশাসনের কাছে। জানা গিয়েছে, গোপন সূত্রে খবর পেয়ে জেলা এনফোর্সমেন্ট শাখার আধিকারিকেরা গতকাল বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় শিমুরালির সুতারগাছি এলাকার ওই কারখানায় অভিযান চালায়। তাঁদের দাবি, সেখান থেকে উদ্ধার ২৪ টিন পচা রসগোল্লার উচ্ছিষ্ট, ২৬৭ টিন ভেজাল গুড়। ভেজাল গুড় তৈরি এবং প্রতারণায় অভিযোগে এক ব্যক্তিকে আটক করা হয়েছে। ধৃতের নাম রাজেশকুমার সাউ।?
অভিযোগ, রাজেশ বিভিন্ন এলাকা থেকে রসগোল্লার পচা রস শিমুরালি সুতারগাছির এই কারখানায় নিয়ে আসত। তার পর তাতে রাসায়নিক মিশিয়ে গুড় তৈরি করত। জানা গিয়েছে, দীর্ঘদিনই ধরে রাজেশ এই ব্যবসা চালাচ্ছিল। এ দিন জেলা এনফোর্সমেন্ট শাখার আধিকারিকেরা সেই কারখানায় অভিযান চালিয়ে জানতে পারেন, এদের কোনও খাদ্য সুরক্ষার লাইসেন্স নেই। পাশাপাশি কারখানায় অগ্নি নির্বাপন ব্যবস্থারও কাগজপত্র নেই। এই সমস্ত ভেজাল সামগ্রি থেকে শিশুদের লজেন্স-সহ বিভিন্ন রকমের খাবার তৈরি হতো বলে অভিযোগ।?
এ দিন রানাঘাটের ডিএসপি ডিএনটি লক্ষ্মীনারায়ণ দে বলেন, “এই সমস্ত রাসায়নিক শরীরে পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া দেখা দিতে পারে। বিভিন্ন জায়গা থেকে রস সংগ্রহ করে তার মধ্যে রাসায়নিক মিশিয়ে গুড় তৈরি করত। যেটা অবৈধ।”?
এই বিষয়ে চিকিৎসকর চিন্ময় রায় বলেন, “এই ধরনের কৃত্তিম গুড়ে ক্রোমিয়াম-সালফার সহ বিষাক্ত খাদ্যের রং মেশানো হচ্ছে। এ সব রাসায়নিক যুক্ত খাবার খেলে শিশুদের কিডনি-পাকস্থলী-লিভারে সমস্যা তৈরি হতে পারে। এমনকি ক্যান্সার পর্যন্ত হতে পারে। তাই অবিলম্বে আইনে আওতায় এদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া উচিত।”?
