সইফ আলি খানের উপর হামলার ঘটনায় তদন্তে এ বার এই রাজ্যে এল মুম্বই পুলিশের তদন্তকারী দল। রবিবারই এই দল রাজ্যে এসে পৌঁছয়। জানা গিয়েছে, ওই ঘটনায় অভিযুক্ত শরিফুল শাহজাদ যে সিম কার্ড ব্যবহার করতেন, তারই সূত্র ধরেই নদিয়ার বড় আন্দুলিয়ায় মুম্বই পুলিশের একটি দল এসেছে। তদন্তের স্বার্থে শিলিগুড়ির বেশ কয়েকটি জায়গায়তেও যেতে পারেন তাঁরা।?
জানা গিয়েছে, অভিনেতা সইফের খানের ওপরে হামলার ঘটনায় ধৃত শরিফুল শাহজাদ বাংলাদেশ থেকে অবৈধ ভাবে এ দেশে অনুপ্রবেশ করে। পশ্চিমবঙ্গেও কিছুদিন সে ছিল। অভিযোগ, খুকুমণি শেখ নামে এক মহিলার নামের সিম কার্ড তুলে সে ব্যবহার করত। পিতার নাম জাহাঙ্গীর শেখ। এই খুকুমণির খোঁজেই রবিবার রাতে চাপড়া থানার বড় আন্দুলিয়া এলাকায় আসে মুম্বই পুলিশ। জানা গিয়েছে, যে দোকান থেকে সিম কার্ড কেনা হয়েছিল সেই দোকান চার বছর আগেই বন্ধ হয়ে গিয়েছে। খুকুমণিকেও খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না।?
মুম্বই পুলিশ জানিয়ছিল, অভিনেতার উপর হামলার অভিযোগে ধৃত বাংলাদেশের বাসিন্দা মহম্মদ শরিফুল ইসাম শেহজাদ সাত মাস আগে মেঘালয়ের ডাউকি নদী পথ পেরিয়ে অসম আসে। তার পর ‘চিকেন নেক’ দিয়ে এ রাজ্যের শিলিগুড়িতে ঢুকেছিল। ভুয়ো আধার কার্ড তৈরিরও ছক কষেছিল ধৃত শরিফুল। তবে এ রাজ্যের কয়েক দিন থেকে চেষ্টা করেও সে তা তৈরি করতে পারেনি। মুম্বই পুলিশের দাবি, সেখানে বেশ কয়েক দিন থেকে স্থানীয় খুকুমণি জাহাঙ্গির শেখের আধার কার্ডের তথ্য ভাঁড়িয়ে সিম কার্ড কিনেছিল সে।?
সইফ আলি খানকে ছুরি মারার পর ফের বাংলাদেশে পালিয়ে যাওয়ার মতলব ছিল শরিফুলের। জানা গিয়েছে, পুলিশ তাঁকে হন্যে হয়ে খুঁজছে বুঝতে পেরে সে বাংলাদেশে পালানোর চেষ্টায় ছিল। মু্ম্বই থেকে হাওড়া আসার ট্রেনের টিকিটও কাটতে গিয়েছিল শরিফুল। তবে ট্রাভেল এজেন্ট যে টাকা চেয়েছিল তা সে জোগাড় করে উঠতে পারেনি। টিকিট কাটার আগেই থানে থেকে শরিফুল গ্রেপ্তার করা হয়। হাই প্রোফাইল এই মামলার তদন্তে নেমে শরিফুলের সঙ্গে যোগাযোগ হওয়া সব ট্রাভেল এজেন্টকে জিজ্ঞাসাবাদ করছে মুম্বই পুলিশ।?
Share