Sukanta Mazumder

বজবজে আক্রান্ত রাজ্য বিজেপির সভাপতি সুকান্ত মজুমদার, তাঁকে লক্ষ্য করে ‘জুতো’ ছোড়ার অভিযোগ তৃণমূল সমর্থকদের বিরুদ্ধে, অস্বীকার তৃণমূলের

অভিযোগ, রাজ্য বিজেপির সভাপতি সুকান্ত মজুমদারকে লক্ষ্য করে জুতো বোতল ছোড়া হয়েছে। ঘটনাস্থলে পুলিশ সুপার রাহুল গোস্বামী নিজে উপস্থিত হন।


বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারকে লক্ষ্য করে উড়ে এল জুতো।
এখন কলকাতা ডেস্ক।
কলকাতা -নিজস্ব চিত্র।
  • শেষ আপডেট:১৯ জুন ২০২৫ ০৬:০৫

বজবজে গিয়ে বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার বিক্ষোভের মুখে পড়লেন। অভিযোগ, সুকান্তকে লক্ষ্য করে জুতো, বোতল ছোড়া হয়। পরিস্থিতি সামাল দিতে নামে র‍্যাফ। বৃহস্পতিবার দুপুরে তিনি বজবজের হালদারপাড়ার জখম কর্মীকে দেখতে গিয়েছিলেন। কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর দাবি, তৃণমূলের মদতপুষ্ট কিছুজন এই ঘটনা ঘটিয়েছে। এ নিয়ে তিনি লোকসভায় সরব হবেন বলেও জানান। যদিও তৃণমূল সেই অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছে। তাদের বক্তব্য,  কেন্দ্র ‘১০০ দিনের কাজ’-র টাকা দেয় না। তা নিয়েই বঞ্চিত মহিলারা বিক্ষোভ দেখান। তাতেই সুকান্ত সেই গরিব মহিলাদের ‘জিহাদি’ বলে দাগিয়েছেন। তা থেকেই উত্তেজনা ছড়ায়।

গতকাল, বুধবার বজবজের বিডিও অফিসে সর্বদলীয় বৈঠক ছিল। সেই বৈঠকে বিজেপি কর্মী জয়দেব দত্ত যোগ দিতে যাচ্ছিলেন। বিডিও অফিসের কাছে জয়দেবকে মারধরের অভিযোগ ওঠে। এ দিন তাঁর সঙ্গেই দেখা করতে গিয়ে বিক্ষোভের মুখে পড়েন রাজ্য বিজেপির সভাপতি তথা কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সুকান্ত মজুমদার।

বিজেপির অভিযোগ, সুকান্ত বজবজ পোপপাড়া এলাকায় পৌঁছনোর সময়ে থেকেই তৃণমূল সমর্থকেরা ‘চোর, চোর’ স্লোগান দিতে শুরু করেন। পরিস্থিতি আরও উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। সেখানে একদল তৃণমূল সমর্থক বিজেপি সভাপতিকে লক্ষ্য করে কটুক্তি, অকথ‍্য ভাষায় গালিগালাজ শুরু করে। সুকান্ত কোনও মতে সেই ভিড় ঠেলে বিজেপি কর্মীর বাড়িতে যান। এমনকি সুকান্ত যখন এলাকা থেকে বেরিয়ে যাচ্ছিলেন, তখন তাঁর কনভয় লক্ষ্য করে জলের বোতল, জুতো ছোড়া হয়।

কিছু ক্ষণ পরে আহত কর্মীর সঙ্গে দেখা করে বেরোনোর সময়ে পরিস্থিতি অগ্নিগর্ভ হয়ে ওঠে। সুকান্তকে লক্ষ্য করে জুতো, বোতল ছোড়া হয়। পুলিশের ঢালে ঢাকতে হয় সুকান্তর মাথা। এ নিয়ে বিজেপি ও তৃণমূলের মহিলা কর্মীদের মধ্যে রীতিমতো হাতাহাতি শুরু হয়ে যায় বলে অভিযোগ। দু’জন মহিলা বিজেপি কর্মী জখম হয়েছেন বলে খবর।

ঘটনাস্থলে পৌঁছয় ডায়মন্ড হারবার জেলা পুলিশের একটি বড় দল। পরিস্থিতি আয়ত্তে আনতে পুলিশ সুপার রাহুল গোস্বামী স্বয়ং ঘটনাস্থলে উপস্থিত হন। এ দিকে এই ঘটনার জেরে বজবজ ট্রাঙ্ক রোড অবরুদ্ধ হয়ে পড়ে। বেশ কিছু ক্ষণ এলাকায় যান চলাচল ব্যাহত হয়।

https://x.com/aitcofficial/status/1935680130627834132?s=46

সুকান্ত মজুমদার বলেন, ‘ওরা চুরি করে এখন আমাদের চোর বলছে। ভয়ঙ্কর বাজে জায়গায় যাচ্ছে পরিস্থিতিটা। আজ এখানে যা হলো তা রাজনীতিতে কাম্য না। এটা গণতন্ত্রে মেনে নেওয়া যায় না। লোকসভাতেও আমি এটা তুলব। গোটা ভারত দেখাব।’

যদিও পাল্টা তৃণমূলের এক্স হ্যান্ডলে লেখা হয়, ‘বিজেপির বাংলা বিদ্বেষের কোনও সীমা নেই। ১০০ দিনের কাজের-র বকেয়া মজুরি নিয়ে হাইকোর্টের রায়ের পর আজ মহিলা আন্দোলনকারীরা সুকান্ত মজুমদারের সামনে প্রতিবাদ জানালে, দোষ স্বীকারের বদলে তিনি প্রত্যাশিত ভাবেই হিংসার পথ বেছে নেন— দরিদ্র শ্রমজীবীদের ‘জিহাদি’ বলে অপমান করেন।’


Share    

হাইলাইটস