নৈহাটিতে তৃণমূল কর্মী সন্তোষ যাদবকে খুনের ঘটনায় মূল অভিযুক্ত গ্রেফতার করল রাজ্য পুলিশ। মূল অভিযুক্ত রাজেশ সাউ বেশ কিছু দিন ধরে পলাতক ছিলেন। তদন্তে নেমে পুলিশ জানতে পারে, ভিন রাজ্যে গা ঢাকা দিয়েছে রাজেশ। জানা গিয়েছে, সোমবার রাজেশ সাউকে উত্তরপ্রদেশ থেকে গ্রেফতার করে তদন্তকারীরা। পাশাপাশি, রাজেশের তিন সঙ্গীকেও করা হয়েছে।?
গত ৩১ জানুয়ারি নৈহাটির গৌরীপুরে দিনের বেলায় প্রকাশ্যে ইট দিয়ে থেঁতলে খুন করা হয়েছিল সন্তোষ যাবদ নামে এক তৃণমূল কর্মীকে। সেই ঘটনায় ন’জনের নামে এফআইআর করেছিল পুলিশ। তাদের মধ্যে চার জনকে গ্রেফতার করা হয়। কিন্তু মূল অভিযুক্ত রাজেশ সাউ অধরাই ছিল। অবশেষে গ্রেফতার করল রাজ্য পুলিশ। তাঁকে উত্তরপ্রদেশের বালিয়া থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এর আগে রাজেশ সাউয়ের ছেলে আকাশ সাউকে এই ঘটনায় গ্রেফতার করা হয়েছিল।?
তৃণমূল কর্মী খুনের ঘটনায় প্রথমে অক্ষয় গণ নামে এক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করা হয়। এরপর ছ’দিনের মাথায় ভিন রাজ্য থেকে দ্বিতীয় অভিযুক্ত রঞ্জিত সাউকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।?
উল্লেখ্য, গত ৩১ জানুয়ারি শুক্রবার নৈহাটির গৌরীপুর এলাকায় টোটো করে যাওয়ার সময়ে ইট দিয়ে থেঁতলে খুন করা হয়েছিল তৃণমূল কর্মী সন্তোষ যাদবকে। ওই কর্মীর মৃত্যুর পরে রীতিমতো তপ্ত হয়ে ওঠে গৌরীপুর এলাকা। পরিস্থিতি সামাল দিতে বিস্তর বেগ পেতে হয়েছিল পুলিশকে। ব্যারাকপুরের সাংসদ পার্থ ভৌমিক বিজেপির প্রাক্তন সাংসদ অর্জুন সিংহের ঘনিষ্ঠ রাকেশ সাউয়ের দিকে আঙুল তুলেছিলেন। যদিও সেই অভিযোগ অস্বীকার করে পাল্টা গোষ্ঠী কোন্দলের অভিযোগ তুলেছিলেন অর্জুন সিংহ।?
ব্যারাকপুর কমিশনারেট এলাকায় পর পর খুন এবং গুলি চালানোর ঘটনায় আইনশৃঙ্খলার অবনতির অভিযোগ তুলেছেন বিরোধী দল বিজেপি। সেই আবহেই খুনের একদিন পরেই ব্যারাকপুরের পুলিশ কমিশনারের পদ থেকে আলোক রাজোরিয়াকে সরিয়ে ট্রাফিক পুলিশের ডিজির দায়িত্ব দেওয়া হয়। ওই পদে ফিরিয়ে আনা হয় অজয় ঠাকুরকে। নবান্নের তরফে অবশ্য জানানো হয়েছিল এই বদলি রুটিন।?
