Five Arrest In Durgapur Rape Case

দুর্গাপুরে গণধর্ষণ-কান্ডে অবশেষে গ্রেফতার পঞ্চম অভিযুক্ত, সব মিলিয়ে ধৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল পাঁচ, এখনও আটক তরুণীর সহপাঠী

শুক্রবার রাত ন’টা নাগাদ এক সহপাঠীর সঙ্গে ক‍্যাম্পাসের বাইরে খাবার খেতে গিয়েছিলেন তরুণী ডাক্তারি পড়ুয়া। খাবার খেয়ে ফেরার সময় কয়েক জন যুবক এসে তাঁদের পথ আটকায়। হেনস্থা করা হয়। এর পরেই ছাত্রীকে টেনেহিঁচড়ে রাস্তা থেকে তুলে পাশে শ্মশানের জঙ্গলে নিয়ে যাওয়া হয়।

গণধর্ষণের ঘটনায় গ্রেফতার পাঁচ জন।
নিজস্ব সংবাদদাতা, দুর্গাপুর
  • শেষ আপডেট:১৩ অক্টোবর ২০২৫ ০১:৪০

দুর্গাপুরে আইকিউ সিটি মেডিকেল কলেজে দ্বিতীয় বর্ষের ডাক্তারি ছাত্রীকে গণধর্ষণের অভিযোগে সোমবার সকালে শেখ নাসিরুদ্দিন বলে পুরসভার অস্থায়ী এক কর্মীকে পুলিশ গ্রেফতার করে। রবিবার সকালে পুলিশ তিন জনকে গ্রেফতার করেছিল। এ দিন শেখ সফিকুল বলে আরও এক জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। পুলিশ সূত্রের খবর, ঘটনার পর সফিকুল পলাতক ছিল। আজই দু’জনকে আদালতে পেশ করা হবে। সব মিলিয়ে ধৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল পাঁচ জন। তরুণীর সহপাঠীকে এখনও আটক করে রাখা হয়েছে।

জানা গিয়েছে, শেখ সফিকুল আইকিউ সিটি মেডিকেল কলেজের পাশেই থাকে। ঘটনার পর থেকে পলাতক ছিল। দুর্গাপুরের গোপালমাঠ অঞ্চলে এক আত্মীয়ের বাড়িতে গা ঢাকা দিয়েছিল। সেখান থেকেই তাকে গ্রেফতার করেছে নিউ টাউনশিপ থানার পুলিশ। সোমবারই শেখ নাসিরুদ্দিন এবং শেখ সফিকুলকে আদালতে পেশ করা হবে। পুলিশ সুত্রের খবর, দু’জনকে হেফাজতে নেওয়ার আবেদন জানানো হবে। এর পরে পাঁচ জন ধৃতকে মুখোমুখি বসিয়ে জেরা করা হবে। পুলিশ সুত্রের এ-ও জানা গিয়েছে, আজ, সোমবারই শুক্রবার রাতের ঘটনার পুনর্নির্মাণ করতে ধৃতদের ঘটনাস্থলে নিয়ে আসা হতে পারে।

শুক্রবার রাতের ঘটনায় রবিবার শেখ রিয়াজুদ্দিন, অপু বাউড়ি এবং ফিরদৌস শেখ নামে তিন যুবককে গ্রেফতার করা হয়। তিন জনই বিজড়ার বাসিন্দা। বাকিদের খোঁজে তল্লাশি চালাচ্ছিল পুলিশ। সোমবার সকালে শেখ নাসিরুদ্দিন নামে দুর্গাপুর পুরসভার অস্থায়ী এক কর্মীকে গ্রেফতার করে পুলিশ। নাসিরুদ্দিনও বিজড়ার বাসিন্দা বলে জানা গিয়েছে। এর পরেই শেখ সফিকুলকে গ্রেফতার করা হয়।

প্রসঙ্গত, শুক্রবার রাত ন’টা নাগাদ এক সহপাঠীর সঙ্গে ক‍্যাম্পাসের বাইরে খাবার খেতে গিয়েছিলেন তরুণী ডাক্তারি পড়ুয়া। খাবার খেয়ে ফেরার সময় কয়েক জন যুবক এসে তাঁদের পথ আটকায়। হেনস্থা করা হয়। এর পরেই ছাত্রীকে টেনেহিঁচড়ে রাস্তা থেকে তুলে পাশে শ্মশানের জঙ্গলে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানেই গণধর্ষণ করা হয় বলে অভিযোগ। তরুণীর কাছ থেকে ফোন এবং পাঁচ হাজার টাকা নগদ কেড়ে নেওয়া হয়। অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্তে নামে পুলিশ। অভিযুক্তদের কাছ থেকে নির্যাতিতার ফোন উদ্ধার করা গিয়েছে বলে খবর।

নির্যাতিতা ছাত্রীর ওড়িশার বালেশ্বরের বাসিন্দা বলে জানা গিয়েছে। তিনি দুর্গাপুরের বেসরকারি আইকিউ সিটি মেডিকেল কলেজের দ্বিতীয় বর্ষের ডাক্তারি পড়ুয়া। রবিবার ওড়িশা থেকে একটি প্রতিনিধি দল দুর্গাপুরের ওই বেসরকারি মেডিকেল কলেজে এসেছিলেন। নির্যাতিতার সঙ্গে কথা বলার চেষ্টা করেন। কিন্তু তাদেরকে হাসপাতালেই প্রবেশ করতে দেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ। পরে তারা ফিরে যান। সোমবার দুর্গাপুরে ওড়িশা মহিলা কমিশনের চেয়ারম্যান শোভনা মহন্তির আসার কথা রয়েছে। তাঁরা নির্যাতিতা এবং তার পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কথা বলবেন। পরিস্থিতি খতিয়ে দেখে ওড়িশা সরকারকে একটি রিপোর্ট জমা দেবেন তাঁরা।


Share