One Man Detained In Front of CM House

ব‍্যাগে পিস্তল নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে দেখা করতে যাচ্ছিলেন শিক্ষক! আটক করে ছ’ঘন্টা জিজ্ঞাসাবাদের পরে পেলেন মুক্তি

লালবাজার সূত্রে খবর, পিস্তল দেখে প্রথমে প্রৌঢ়কে আটক করা হয়েছিল। থানায় দীর্ঘ ক্ষণ খুঁটিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয় তাঁকে। নথিপত্র দেখা হয়। সন্দেহজনক কিছু না থাকায় রাতে তাঁকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।

মুখ্যমন্ত্রীর বাড়ির অদূরে অস্ত্র-সহ আটক এক প্রৌঢ়।
নিজস্ব সংবাদদাতা, কলকাতা
  • শেষ আপডেট:১০ অক্টোবর ২০২৫ ০৯:১৩

ব্যাগে ছিল পিস্তল। তা নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পাড়ার অদূরে হাজরা মোড়ে ঘুরে বেড়াচ্ছিলেন এক প্রৌঢ়। গন্তব্যও ছিল মুখ্যমন্ত্রীর বাড়ি! গতিবিধি সন্দেহজনক হওয়ায় পুলিশ তাঁকে আটক করে। তাঁর ব্যাগে একটি এয়ারগান ছিল। পরে অবশ্য প্রৌঢ়কে মুক্তি দেওয়া হয়েছে। অস্ত্রের বৈধ কাগজপত্র তিনি পুলিশকে দেখিয়েছেন বলে জানা গিয়েছে।

পুলিশ সূত্রের খবর, আটক ব্যক্তির নাম দেবাঞ্জন চট্টোপাধ্যায়। বয়স ৫১ বছর। দেবাঞ্জন সল্টলেকের বাসিন্দা। বর্তমানে তিনি কলকাতার একটি স্কুলে শিক্ষকতা করেন। পুলিশি জেরার মুখে দেবাঞ্জন জানিয়েছেন, তিনি হুগলির শ্রীরামপুর রাইফেল ক্লাবের সঙ্গে যুক্ত। বৃহস্পতিবার কালীঘাটের রাস্তায় তাঁকে ঘোরাফেরা করতে দেখা যায়। সন্দেহ হওয়ায় মুখ্যমন্ত্রীর পাড়ার এলাকার নিরাপাত্তার দায়িত্বে থাকা পুলিশ দেবাঞ্জনকে আটক করেন। নিয়ে যাওয়া হয় কালীঘাট থানায়। বেশ কয়েক ঘণ্টা থানায় ছিলেন তিনি। জিজ্ঞাসাবাদের পরে রাতে প্রৌঢ়কে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।

শুক্রবার দেবাঞ্জন জানান, তিনি দু’টি আর্জি নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করতে গিয়েছিলেন। গাড়ি থেকে নামার পরে নিজেই নিরাপত্তারক্ষীদের পিস্তল দেখান। দেবাঞ্জের কথায়, ‘‘আমি মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করতে গিয়েছিলাম। আমার কিছু আর্জি ছিল। এয়ারগান জমা দিয়েই আমি গাড়ি থেকে নেমেছিলাম। অকারণে আমাকে আটকানো হয়। ছ’ঘণ্টা জিজ্ঞাসাবাদে হেনস্থা তো হয়েছি।’’

তিনি আরও বলেন, ‘‘আমি নিজেই ব্যাগ থেকে এয়ারগানটা বার করে দেখিয়েছিলাম। ওরা ভেবেছিল এটা ৯এমএম পিস্তল। আমি পেশায় আইনজীবী, একটা ল ফার্ম চালাই। তাই অপরাধীদের নিয়ে আমাকে কাজ করতে হয়। তাদের সামলানোর জন্য সঙ্গে অস্ত্র রাখতে হয়। এর প্রয়োজনীয় লাইসেন্স আমার কাছে রয়েছে।’’ দেবাঞ্জনের আর্জি মুখ্যমন্ত্রীর টেবিলে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে বলে পুলিশ তাঁকে জানিয়েছে। 

কী আর্জি মুখ্যমন্ত্রীর সাক্ষাৎ করতে গিয়েছিলেন, তা-ও জানান দেবাঞ্জন। বলেন, তাঁর বাবা রাজ্য সরকারের উচ্চপদস্থ কর্মচারী ছিলেন। গত মার্চ মাসে তাঁর পিতৃবিয়োগ ঘটেছে। কিন্তু সরকারি স্বাস্থ্য প্রকল্পের টাকা এখনও তিনি পাননি। নবান্ন থেকে বার বার তাঁকে ফিরিয়ে দেওয়া হয়েছে। তাই এ বিষয়ে মুখ্যমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ চান প্রৌঢ়।

লালবাজার সূত্রে খবর, পিস্তল দেখে প্রথমে প্রৌঢ়কে আটক করা হয়েছিল। থানায় দীর্ঘ ক্ষণ খুঁটিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয় তাঁকে। নথিপত্র দেখা হয়। সন্দেহজনক কিছু না থাকায় রাতে তাঁকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। দেবাঞ্জনের কাছ থেকে একটি এয়ারগান এবং কিছু গুলি উদ্ধার করা হয়েছে। সাধারণত এই ধরনের পিস্তল পাখি শিকারের জন্য ব্যবহার করা হয়। গত সাত-আট মাস ধরে নিজের কাছে অস্ত্র রাখছেন বলে দাবি করেছেন দেবাঞ্জন।


Share