Election Commission of India

রাজ্যের অধীনে আর থাকবে না মুখ‍্য নির্বাচনী আধিকারিকের দফতর, স্বতন্ত্র করার নির্দেশ দিল নির্বাচন কমিশন

রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের দফতরকে স্বরাষ্ট্র এবং পার্বত্য বিষয়ক দফতরের থেকে আলাদা করতে বলেছে কেন্দ্রীয় নির্বাচন কমিশন। আলাদা বাজেট তৈরি করতে হবে বলেও নির্দেশ দিয়েছে দিল্লি।

রাজ্য নির্বাচনী আধিকারিকের দফতরকে স্বাধীন ঘোষণা করার নির্দেশ দিয়েছে কেন্দ্রীয় নির্বাচন কমিশন।
নিজস্ব সংবাদদাতা: কলকাতা
  • শেষ আপডেট:২৩ জুলাই ২০২৫ ১১:১৫

রাজ‍্যের অধীনে আর থাকবে না মুখ‍্য নির্বাচনী আধিকারিকের কার্যালয়। দ্রুত ওই দফতরকে  স্বাধীন হিসেবে ঘোষণা করার নির্দেশ দিয়েছে কেন্দ্রীয় নির্বাচন কমিশন। সেই মর্মে রাজ‍্যের মুখ‍্যসচিবকে চিঠিও পাঠিয়েছে তারা।

ওই চিঠিতে কেন্দ্রীয় নির্বাচন কমিশনের অধস্তন সচিব এম আশুতোষ চিঠিতে জানিয়েছেন, সিইও-র দফতরের ওপর বর্তমানে অর্থ, স্বরাষ্ট্র এবং পার্বত্য বিষয়ক দফতরের যে অর্থনৈতিক এবং প্রশাসনিক নিয়ন্ত্রণ রয়েছে, তা থেকে মুক্ত করতে হবে। কারণ হিসেবে ওই চিঠিতে বলা হয়েছে, বর্তমানে যে ব্যবস্থা চালু রয়েছে তাতে সিইও দফতরের স্বশাসনের ক্ষমতা নেই। তাই রাজ্যের সঙ্গে সম্পর্কহীন সিইও দফতর তৈরি করতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের দফতরের পর্যাপ্ত অর্থনৈতিক ক্ষমতা নেই বলে নবান্নকে চিঠি দিয়ে জানিয়েছে কেন্দ্রীয় নির্বাচন কমিশন। বর্তমান ব্যবস্থায় সিইও-র দফতর স্বরাষ্ট্র এবং পার্বত্য বিষয়ক দফতরের অধীনে থাকা সংস্থা। তাই সেই দফতরের অর্থ বরাদ্দের ওপর নির্ভর করতে হয়। খরচে দিকেও সীমাবদ্ধতা থেকে যায়। পাশাপাশি জানানো হয়েছে, রাজ্যের সিইও পদাধিকারবলে অতিরিক্ত মুখ্যসচিব (এসিএস) পর্যায়ের আধিকারিক হলেও তিনি মুখ্যসচিব বা অন্য কোনও প্রিন্সিপাল সচিব পর্যায়ের আমলার নিয়ন্ত্রণে থাকবেন না। তাই নির্বাচনী দফতরকে আলাদা করতে হবে। তার জন্য পৃথক বাজেট তৈরি করতে হবে। অন্যান্য দফতরের অতিরিক্ত মূখ্যসচিব, প্রিন্সিপাল সচিব এবং সচিবদের মতো অর্থ খরচ করার স্বাধীন ক্ষমতা দিতে হবে। এর জন্য পৃথক অর্থনৈতিক উপদেষ্টা নিয়োগ করতে হবে বলেও চিঠিতে উল্লেখ করা হয়েছে। এছাড়াও আগামী বছরের বিধানসভা নির্বাচনের আগে উপ, অতিরিক্ত এবং যুগ্ম সিইও-র চারটি পদ পূরণ করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে নবান্নকে।

রাজ্যের মুখ্যসচিবকে এই চিঠি পাঠিয়েছে কেন্দ্রীয় নির্বাচন কমিশন।

রাজ্যের গত নির্বাচনগুলিতে মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের বিরুদ্ধে শাসকদলের হয়ে ভোট করানোর অভিযোগ করেছিল বিরোধীরা। সম্প্রতি রাজ্যের ভোটার তালিকা থেকে ভুয়ো ভোটারদের নাম বাদ দেওয়ার দাবি তুলেছে প্রধান বিরোধী দল বিজেপি। আগামী বছর বিধানসভা নির্বাচন। তার আগেই কেন্দ্রীয় নির্বাচন কমিশনের এই নির্দেশ অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহল।


Share