Clash Between Two Groups At Ekbalpore

মারের পাল্টা মার! টাকার লেনদেন নিয়ে রক্তাক্ত একবালপুর, দুই অভিযুক্তই ভর্তি হাসপাতালে

ঘটনাস্থলে আসে একবালপুর থানার বিশাল পুলিশ বাহিনী। এর পরে অভিযুক্ত রশিদকে উদ্ধার করে এসএসকেএম হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। বর্তমানে একবালপুরের একটি বেসরকারি নার্সিংহোমে রশিদের চিকিৎসা চলছে। পুলিশ জানিয়েছে, একটু সুস্থ হলে তার বয়ান রেকর্ড করা হবে।

উত্তপ্ত একবালপুর।
নিজস্ব সংবাদদাতা, কলকাতা
  • শেষ আপডেট:১১ অক্টোবর ২০২৫ ০৪:০০

টাকা নিয়ে দিচ্ছিল না এক প্রতিবেশী। প্রতিবেশীর থেকে পাওনা আদায় করতে গিয়ে বচসা, তা গড়াল হাতাহাতিতে। ঝড়ল রক্ত। ঘটনাটি ঘটেছে একবালপুরে। অভিযোগ, প্রতিবেশীর সঙ্গে বচসা চলাকালীন আরেক প্রতিবেশী ধারালো অস্ত্র দিয়ে কোপ দেয়। প্রতিশোধ নিতে জখমের ব‍্যক্তির বন্ধুরা অভিযুক্তের ওপর চড়াও হয়। করা হয় মারধর। দু’জনেই হাসপাতালে ভর্তি। তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।

শুক্রবার মধ‍্যরাত ১২টা নাগাদ একবালপুর থানা এলাকায় বাসিন্দা রশিদ মহম্মদ নামে এক ব‍্যক্তি প্রতিবেশী শেখ ইমরানের বাড়ির সামনে যায়। রশিদের দাবি, ইমরান তার কাছ থেকে টাকা নিয়েছিল। বারবার চাইলেও ফেরত দিচ্ছিল না। তা আদায় করতে শেখ মহম্মদের বাড়ির সামনে গিয়েই বচসায় জড়িয়ে পড়ে। বচসা গড়ায় হাতাহাতিতে। অভিযোগ, রশিদ আচমকা ধারালো অস্ত্র দিয়ে শেখ ইমরানের গলায় কোপ মারে। গুরুতর জখম অবস্থায় স্থানীয় একটি বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। পরে সেখান থেকে সরিয়ে আরেক বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

এর পরেই শেখ ইমরান একবালপুর থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। পুলিশ সূত্রের খবর, ভারতীয় ন‍্যায় সংহিতার ১০৯ এবং ২৫(১বি)(এ) অস্ত্র আইনে রশিদের বিরুদ্ধে এফআইআর রুজু করা হয়েছে।

ঘটনা এখানেই খেমে থাকেনি। ঘটনার পর উত্তেজনা ছড়ায় এলাকায়। প্রতিশোধ নিতে শেখ ইমরানের বন্ধুরা রশিদ মহম্মদের ওপর হামলা চালায়। অভিযোগ, বেধড়ক মারধর করা হয় তাকে। যার ফলে অভিযুক্ত রশিদের শরীরের কিছু অংশে হাড় ভেঙে গিয়েছে। 

খবর যায় থানায়। ঘটনাস্থলে আসে একবালপুর থানার বিশাল পুলিশ বাহিনী। এর পরে অভিযুক্ত রশিদকে উদ্ধার করে এসএসকেএম হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। বর্তমানে একবালপুরের একটি বেসরকারি নার্সিংহোমে রশিদের চিকিৎসা চলছে। পুলিশ জানিয়েছে, একটু সুস্থ হলে তার বয়ান রেকর্ড করা হবে। এখনও পর্যন্ত কাউকে গ্রেফতার করা যায়নি বলে জানা গিয়েছে।


Share