Bangladeshi Arrested

স্ট্যান্ড রোডে পুলিশকর্মীকে ছুরি দিয়ে আঘাত করার অভিযোগে ধৃত বাংলাদেশি নাগরিক, তদন্ত করছে পুলিশ

ধৃতের নাম মহম্মদ সুলতান শেখ। সুলতান বিপুল মণ্ডল পরিচয়ে কলকাতায় বসবাস করছিল। তার বিরুদ্ধে ফরেইনার্স আইনে স্বতঃপ্রণোদিত মামলা রুজু হয়েছে।

ধৃতের নাম মহম্মদ সুলতান শেখ।
কলকাতা
  • শেষ আপডেট:১১ জুন ২০২৫ ১২:৫১

স্ট‍্যান্ড রোডে পুলিশকর্মীকে ছুরিকাঘাতের ধৃত যুবক সুলতান বাংলাদেশের নাগরিক। পুলিশের তদন্তে এমনই চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে এসেছে। এমনকি সুলতান কলকাতায় ‘হিন্দু’ নাম ব্যবহার করে বসবাস করছিল। পুলিশের জেরার মুখে পড়ে সুলতান এমনটাই দাবি করেছে বলে জানা গিয়েছে।? 

ইদের দিন রাতে মদ্যপ অবস্থায় দুই পুলিশকর্মীকে ছুরি দিয়ে আঘাত করার অভিযোগে মহম্মদ সুলতান শেখ নামে এক যুবকে পাকড়াও করে নর্থপোর্ট থানার পুলিশ। ধৃত যুবক সুলতানকে জেরা করে পুলিশ জানতে পেরেছে যে সে আদতে বাংলাদেশের নাগরিক। ২০০৬ সালে বেনাপোল সীমান্ত দিয়ে অবৈধভাবে ভারতে প্রবেশ করে। এর পর ট্রেনে করে শিয়ালদহ স্টেশনে আসে। সেখান থেকে আর্মেনিয়ান ঘাটে আসে। সেখানেই তার বাল্যজীবন কেটেছে। সেখানে সে ফুল বিক্রি করত। জানা গিয়েছে, এই দেশে এসে সে হিন্দু নাম ব্যবহার করছে। সুলতান নিজেকে ‘বিপুল মন্ডল’ পরিচয় দিয়ে আর্মেনিয়ান ঘাট চত্বরে দীর্ঘদিন ধরে বসবাস করছে। তার কাছ থেকে একটি আধারকার্ড উদ্ধার হয়েছে। পুলিশের দাবি, মহম্মদ সুলতান শেখ বাংলাদেশের লক্ষ্মীপুরের চরকাচার বাসিন্দা। তার বিরুদ্ধে ফরেনার্স আইনে মামলা দায়ের করা হয়েছে।? 

শনিবার ইদের দিন রাতে স্ট্যান্ড রোডে এলাকায় একটি মদের দোকানের সামনে গোলমাল থামাতে গিয়ে ছুরিকাঘাতে জখম হন নর্থপোর্ট থানার এক এএসআই এবং এক কনস্টেবল। রক্তাক্ত অবস্থায় তাদের উদ্ধার করে মেডিকেল কলেজে নিয়ে যাওয়া হয়। সেই ঘটনায় মূল অভিযুক্ত মহম্মদ সুলতান শেখকে গ্রেফতার করা হয়। তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করতেই উঠে আসে এই চাঞ্চল্যকর তথ্য। প্রসঙ্গত, বেশ কিছুদিন আগে কলকাতা পুলিশের এক সাব ইন্সপেক্টর দুর্ঘটনায় জখম হন। সেই ঘটনার তদন্তে নেমে গাড়ির চালককে গ্রেফতার করেছিল ভবানীপুর থানার পুলিশ। তাকেও জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ জানতে পারে যে সেও বাংলাদেশের নাগরিক। সে নথি জাল করে এই দেশে থাকতে শুরু করেছিল।? 


Share    

হাইলাইটস