Howrah Murder

বাঁকড়ায় কারখানার ভিতর থেকে উদ্ধার ভিনরাজ্যের শ্রমিকের রক্তাক্ত দেহ, খুনের অভিযোগে গ্রেফতার তাঁরই সহকর্মী

ভিনরাজ্যের শ্রমিকের রক্তাক্ত দেহ উদ্ধার হল হাওড়ার বাঁকড়ায়। গভীর রাতে মণ্ডলপাড়ায় একটি চেয়ার কারখানা থেকে দেহটি উদ্ধার করে ডোমজুড় থানার পুলিশ। নিহতের নাম জার্জিস আনসারি। তাঁকে খুন করা হয়েছে বলে অভিযোগ। তাঁরই সহকর্মী ফৌম আনসারিকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

হাওড়ার বাঁকড়ায় মন্ডলপাড়ার এই কারখানা থেকে উদ্ধার হয়েছে ওই শ্রমিকের রক্তাক্ত দেহ।
এখন কলকাতা ডেস্ক
ডোমজুড় - নিজস্ব চিত্র
  • শেষ আপডেট:৩১ জানুয়ারি ২০২৫ ১২:০০

হাওড়ার বাঁকড়ায় একটি চেয়ার কারখানার ভিতর থেকে উদ্ধার হল ভিনরাজ্যের শ্রমিকের রক্তাক্ত মৃতদেহ। তাঁকে খুন করা হয়েছে বলে অনুমান পুলিশের। নিহতের নাম জার্জিস আনসারি। জার্জিসকে কুপিয়ে খুন করা হয়েছে বলে অভিযোগ। ঝাড়খণ্ড থেকে হাওড়ায় কাজ করতে এসেছিলেন তিনি। এই ঘটনায় অভিযুক্ত তাঁরই সঙ্গী। সে গুরুতর জখম অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি।? 

বাঁকড়ার মণ্ডলপাড়ায় চেয়ার তৈরির কারখানায় কাজ করতেন জার্জিস। তাঁর সঙ্গে কাজ করতে এসেছিলেন ফৌম আনসারি নামে এক যুবক। স্থানীয়েরা জানিয়েছেন, দিন দশেক আগে ঝাড়খণ্ড থেকে এসেছিলেন তাঁরা। বৃহস্পতিবার গভীর রাতে তাঁদের মধ্যে তুমুল বচসা হয়। অভিযোগ, সেই সময়ে ধারালো অস্ত্র দিয়ে তাঁরা একে অপরকে আক্রমণ করে বসে। ঘটনাস্থলেই জার্জিসের মৃত্যু হয়। ফৌম আনসারি জখম হয়েছে। তাঁকে হাওড়া জেলা হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়ছে। সেখানে তাঁর চিকিৎসা চলছে। তাঁকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।? 

রাতেই ঘটনাস্থলে যায় ডোমজুড় থানার বিশাল পুলিশ বাহিনী। এলাকায় পুলিশ পিকেট বসানো হয়েছে। সিল করে দেওয়া হয়েছে ওই চেয়ার কারখানা। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে এলাকায় র‍্যাফ নামানো হয়েছে। মৃতের দেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। এ দিন সকালে এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে এলাকায় উত্তেজনা ছড়িয়েছে।? 

প্রাথমিক তদন্তে পুলিশ জানতে পেরেছে, দুই ভিনরাজ্যের শ্রমিকের মধ্যে কাজের পারিশ্রমিক নিয়ে বচসা হয়। তার জেরেই একে অপরের ওপর প্রাণঘাতী আক্রমণ। হাওড়ার পুলিশ কমিশনার প্রবীণ কুমার ত্রিপাঠী জানিয়েছেন, জার্জিসের কাছে ফৌম তিন দিনের কাজের পারিশ্রমিক পেত। তা না-পেয়ে ধারালো অস্ত্র নিয়ে চড়াও হয় ফৌম আনসারি। অপরাধের কথা জেরার মুখে স্বীকার করে নিয়েছে অভিযুক্ত। তাঁর বিরুদ্ধে খুনের মামলা রুজু করা হয়েছে। পুলিশ এলাকার সিসি ক্যামেরার ফুটেজ খতিয়ে দেখছে। এই ঘটনার সঙ্গে আরও কেউ জড়িত কি না, তদন্ত করছে পুলিশ।? 


Share    

হাইলাইটস