রহস্যমৃত্যু মৃত্যু হল বিজেপির এক মহিলা পঞ্চায়েত প্রধানের। মৃতার নাম নবনীতা কুইলি বর্মণ। নবনীতা পূর্ব মেদিনীপুরের ভগবানপুর ১ ব্লকের ইলাশপুরে বিজেপি পরিচালিত গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান ছিলেন। প্রাথমিকভাবে পুলিশের সন্দেহ, আত্মঘাতী হয়েছেন ওই মহিলা। তবে গোটা ঘটনাটি তদন্ত করে দেখছে পুলিশ। কী কারণে এই চরম পদক্ষেপ করলেন তিনি? তা ঘিরে তৈরি হয়েছে রহস্য।?
পরিবারের দাবি, শনিবার বিকেলে চুল রং করার রাসায়নিক খেয়ে ফেলার পরেই অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন নবনীতা। এর পরেই তাঁকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় প্রথমে ভগবানপুর গ্রামীণ হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। পরে অবস্থার অবনতি হলে তমলুক মেডিক্যাল কলেজে হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়। চিকিৎসাধীন থাকার পরেও মৃত্যু হয় ওই বিজেপি নেত্রীর। তাঁর ১২ বছরের একটি মেয়ে এবং ৮ বছরের এক ছেলে রয়েছে। রবিবার রাতে মৃত্যু হয় তাঁর।?
স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছেন, নবনীতার বাপের বাড়ি এবং শ্বশুরবাড়ি দুই-ই ভগবানপুর থানার ইলাশপুর গ্রামে। গত বছর পঞ্চায়েত নির্বাচনে বিজেপির টিকিটে জয়ী হওয়ার পর নবনীতাকে সর্বসম্মতিতে ভগবানপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান হিসাবে নির্বাচিত করা হয়। সংশ্লিষ্ট এলাকায় দাপুটে বিজেপি নেত্রী হিসেবে পরিচিত ছিলেন নবনীতা।?
স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছেন, নবনীতার বাপের বাড়ি এবং শ্বশুরবাড়ি দুই-ই ভগবানপুর থানার ইলাশপুর গ্রামে। গত বছর পঞ্চায়েত নির্বাচনে বিজেপির টিকিটে জয়ী হওয়ার পর নবনীতাকে সর্বসম্মতিতে ভগবানপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান হিসাবে নির্বাচিত করা হয়। সংশ্লিষ্ট এলাকায় দাপুটে বিজেপি নেত্রী হিসেবে পরিচিত ছিলেন নবনীতা।ভগবানপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের উপপ্রধান শেখ আনোয়ার আলি বলেন, ‘‘পঞ্চায়েত প্রধান হিসেবে নবনীতা গত দু’বছরে খুবই ভাল কাজ করেছেন। কিন্তু ঠিক কী কারণে তাঁর মৃত্যু, সে বিষয়ে আমরাও সম্পূর্ণ অন্ধকারে। আজ তাঁর দেহের ময়নাতদন্ত হচ্ছে। কী ভাবে মৃত্যু, তা পুলিশ তদন্ত করে দেখছে।’’?
ভগবানপুর থানার এক আধিকারিক বলেন, ‘প্রাথমিক তদন্তে উঠে এসেছে, পারিবারিক অশান্তির কারণে মৃত্যু হয়েছে ওই মহিলার। অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা রুজু করে তদন্ত শুরু করা হয়েছে।?
তবে নবনীতার মৃত্যুর কারণ নিয়ে ধোঁয়াশায় স্থানীয় বিজেপি নেতৃত্ব। ভগবানপুরের বিধায়ক রবীন্দ্রনাথ মাইতি বলেন, ‘খুবই দুঃখজনক ঘটনা। কী কারণে তিনি আত্মহত্যা করেছেন তা খতিয়ে দেখুক পুলিশ।’?