Bardhaman Stampede

ট্রেন ঢুকতেই বর্ধমান স্টেশনে হুড়োহুড়ি, সিঁড়ি দিয়ে নামার সময় পদপিষ্ট হয়ে জখম অন্তত সাতজন, ভর্তি করা হল বর্ধমান মেডিকেলে

এই ঘটনাকে ঘিরে ফের উঠছে যাত্রীদের নিরাপত্তা ও ভিড় নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। এই স্টেশনে প্রতিদিন হাজার হাজার যাত্রী যাতায়াত করেন। কিন্তু সংকীর্ণ সিঁড়ি ও পর্যাপ্ত নিরাপত্তা কর্মীর অভাব নিয়ে যাত্রীদের মধ্যে ক্ষোভ তৈরি হয়েছে।

ট্রেন ধরতে হুড়োহুড়ি বর্ধমান স্টেশনে।
নিজস্ব সংবাদদাতা, বর্ধমান
  • শেষ আপডেট:১২ অক্টোবর ২০২৫ ০৯:৩৪

বর্ধমান স্টেশনে ট্রেন ধরার হুড়োহুড়িতে পদপিষ্টের ঘটনা। রবিবার সন্ধ্যায় বর্ধমান স্টেশনে ৪ এবং ৫ নম্বর প্ল্যাটফর্মে ঘটনাটি ঘটেছে। শেষ পাওয়া খবর অনুযায়ী, পদপিষ্টের ঘটনায় সাতজন জখম হয়েছেন। তাদের হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। স্টেশনের নিরাপত্তা ব্যবস্থায় উঠছে প্রশ্ন।

জানা গিয়েছে, চার, ছয় এবং সাত নম্বর প্ল্যাটফর্মে ট্রেন দাঁড়িয়ে ছিল। চার নম্বরে বর্ধমান-হাওড়া (মেন লাইন) লোকাল, ছ’নম্বরে রামপুরহাট লোকাল আর সাতে আসানসোল লোকাল দাঁড়িয়ে ছিল। ঘোষণা হতেই তিনটি পৃথক রুটের যাত্রীরা ফুট ওভারব্রিজ দিয়ে ট্রেন ধরতে রওনা দেন। 

এর ফলে তিনটি ট্রেনের যাত্রীদের ভিড় বাড়তে থাকে। এর পরেই চার এবং পাঁচ নম্বর প্ল্যাটফর্মের ওঠা-নামার সিঁড়িতে হুড়োহুড়ি শুরু হয়ে যায়। সেই চাপেই কয়েক জন পড়ে গিয়ে পদপিষ্ট হন। ওই প্লাটফর্মে আসার সিঁড়িটা সংকীর্ণ হওয়ায় পদপিষ্টের ঘটনা ঘটেছে বলে অভিযোগ করেছে প্রত্যক্ষদর্শীরা।

ঘটনার পর আহতদের উদ্ধার করে বর্ধমান মেডিকেল কলেজে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। অসমর্থিত সূত্রের খবর, ঘটনায় তিনজন মহিলা-সহ সাতজন জখম হয়েছেন। রেল সূত্রে জানা গেছে, জখমদের অবস্থা বর্তমানে স্থিতিশীল। রেল প্রশাসন জানিয়েছে, ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে এবং ভবিষ্যতে এমন পরিস্থিতি এড়াতে পদক্ষেপ নেওয়া হবে।

রবিবার এই ঘটনা প্রসঙ্গে পূর্ব রেলের মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক দীপ্তিময় দত্ত বলেন, “দু’জনের জখম হওয়ার খবর পেয়েছি। আঘাত গুরুতর নয়। তাদের বর্ধমান মেডিকেল কলেজে পাঠানো হয়েছে। জখমদের আর্থিক সাহায্য করা হবে কি না তা দেখা হচ্ছে।” এর পাশাপাশি ফুট ওভারব্রিজ দিয়ে যাতায়াতের সময় সাবধানতা অবলম্বন করার জন্য পরামর্শ দিয়েছেন তিনি।

এ দিকে, এই ঘটনাকে ঘিরে ফের উঠছে যাত্রীদের নিরাপত্তা ও ভিড় নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। এই স্টেশনে প্রতিদিন হাজার হাজার যাত্রী যাতায়াত করেন। কিন্তু সংকীর্ণ সিঁড়ি ও পর্যাপ্ত নিরাপত্তা কর্মীর অভাব নিয়ে যাত্রীদের মধ্যে ক্ষোভ তৈরি হয়েছে।


Share