SSC Scam

এসএসসির শিক্ষাকর্মী নিয়োগে হস্তক্ষেপ করল না সুপ্রিম কোর্ট, নিয়োগের ‘সময়সীমা’ বেঁধে দেওয়ার আর্জি খারিজ শীর্ষ আদালতে

এসএসসির ২০১৬ সালের গোটা প্যানেলই সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে বাতিল হয়ে গিয়েছে। গত এপ্রিল মাসে নবম-দশম এবং একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণির শিক্ষক নিয়োগের জন্য রাজ্যকে সময়সীমা বেঁধে দিয়েছিল। সুপ্রিম কোর্ট জানিয়েছিল, যাঁরা ‘চিহ্নিত অযোগ্য’ (দাগি) নন, তেমন শিক্ষক-শিক্ষিকারা আপাতত স্কুলে যেতে পারবেন।

প্রতীকী ছবি।
নিজস্ব সংবাদদাতা, দিল্লি
  • শেষ আপডেট:১৩ অক্টোবর ২০২৫ ০৬:৩০

স্কুল সার্ভিস কমিশন (এসএসসি)-এর গ্রুপ-সি এবং গ্রুপ-ডি কর্মী নিয়োগের প্রক্রিয়ায় কোনও হস্তক্ষেপ করল না সুপ্রিম কোর্ট। নির্দিষ্ট সময়সীমার মধ্যে নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করার যে আবেদন করা হয়েছিল, সোমবার সুপ্রিম কোর্টে তা-ও খারিজ হয়ে গিয়েছে। শীর্ষ আদালতের পর্যবেক্ষণ, একই মামলা বার বার শোনা হবে না।

মামলাকারী ‘যোগ্য’ শিক্ষাকর্মীদের আর্জি ছিল, দ্রুত নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা হোক। শিক্ষক নিয়োগের মতো এ ক্ষেত্রেও সময়সীমা বেঁধে দেওয়ার আবেদন জানিয়ে শীর্ষ আদালতে দ্বারস্থ হয়েছিলেন তাঁরা। মামলাকারীদের বক্তব্য, অন্যথায় নিয়োগ নিয়ে কোনও নিশ্চয়তা পাচ্ছেন না তাঁরা। সোমবার সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি সঞ্জয় কুমার এবং বিচারপতি অলোক আরাধের বেঞ্চে এই মামলার শুনানির হয়। দুই বিচারপতির বেঞ্চ জানায়, মূল মামলায় রায় ঘোষণা হয়ে গিয়েছে। তার পরেও কেন বার বার আবেদন করা হচ্ছে, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে শীর্ষ আদালত।

এ দিন শুনানিতে সুপ্রিম কোর্ট বলে, “কোনও অতিরিক্ত মামলার আবেদন শোনা হবে না। আমরা পুরো প্যানেল বাতিল করে দিয়েছি। এই অবস্থায় বার বার একই বিষয় নিয়ে আদালতে মামলা?” তখন মামলাকারী পক্ষের আইনজীবী জানান, শিক্ষক নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি দেওয়া হয়েছে। কিন্তু শিক্ষাকর্মী নিয়োগের বিজ্ঞপ্তিতে দেরি করেছে। নিয়োগ যে হবেই তার কোনও নিশ্চয়তা নেই।” সেই কারণে এই আবেদনের শুনানি হওয়া প্রয়োজন বলে দাবি করেন। 

তবে শীর্ষ আদালত সেই আর্জি খারিজ করে দিয়েছে। আদালত মামলাকারীদের উদ্দেশে জানায়, নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি জারি হলে নতুন কোনও বিষয়ে মামলা করা যেতে পারে। এই বিষয়ে দুই বিচারপতির বেঞ্চের মন্তব্য, “সেই স্বাধীনতা দিচ্ছি। তবে এই আদালত মামলা শুনবে না। আগে হাই কোর্টে যান। কিন্তু অতিরিক্ত আবেদনের শুনানি হবে না”।

এসএসসির ২০১৬ সালের গোটা প্যানেলই সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে বাতিল হয়ে গিয়েছে। গত এপ্রিল মাসে নবম-দশম এবং একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণির শিক্ষক নিয়োগের জন্য রাজ্যকে সময়সীমা বেঁধে দিয়েছিল। সুপ্রিম কোর্ট জানিয়েছিল, যাঁরা ‘চিহ্নিত অযোগ্য’ (দাগি) নন, তেমন শিক্ষক-শিক্ষিকারা আপাতত স্কুলে যেতে পারবেন। তবে ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে রাজ্য সরকারকে পরীক্ষা নিয়ে নতুন নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে হবে। 

যদিও শুধুমাত্র ক্ষকদের ক্ষেত্রেই এই নির্দেশ কার্যকর হবে বলেও জানিয়েছিল সুপ্রিম কোর্ট। এ বার শিক্ষাকর্মী নিয়োগের জন্যও তেমন সময়সীমা বেঁধে দেওয়ার জন্য আবেদন জানিয়েছিলেন গ্রুপ-সি এবং গ্রুপ-ডি চাকরিপ্রার্থীদের একাংশ। সোমবার সেই আবেদন খারিজ করে দিল শীর্ষ আদালত।


Share