Bihar Assembly Election

সংগঠনে মনোনিবেশ, বিহার নির্বাচনের প্রার্থী হচ্ছেন না প্রশান্ত কিশোর, বিহার থেকে বিদায় নেবে এনডিএ, দাবি পিকের

প্রশান্ত কিশোরের ভোটে লড়াই না করার সিদ্ধান্তের নেপথ্যে দলের কিছু ব্যাখ্যা দেওয়া হয়েছে। জন সুরাজ পার্টির দাবি, যদি প্রশান্ত কোনও কেন্দ্র থেকে লড়াই করেন, তবে তাঁকে শুধু সেই এক জায়গায় আটকে থাকতে হবে। দল তা চায় না। বিহারের বিধানসভা নির্বাচনে জন সুরাজ পার্টির প্রতিটি প্রার্থীর হয়ে তিনি প্রচার করবেন, লড়বেন।

প্রশান্ত কিশোর।
নিজস্ব সংবাদদাতা, পটনা
  • শেষ আপডেট:১৫ অক্টোবর ২০২৫ ১২:৪৬

বিহারে আসন্ন বিধানসভা ভোটে প্রার্থীই হচ্ছেন না প্রশান্ত কিশোর। সংবাদসংস্থা পিটিআই-কে জন সুরাজ পার্টির প্রতিষ্ঠাতা নিজেই সংবাদ দিয়েছেন। তিনি জানান, এ বারের ভোটে তিনি লড়বেন না। তবে তাঁর দল লড়াই করবে। তিনি আরও জানিয়েছেন, এ বারের নির্বাচনে ভোটে না-দাঁড়িয়ে তিনি সাংগঠনিক কাজে মনোনিবেশ করবেন।

মঙ্গলবার রাতে জন সুরাজ পার্টি বিহারের বিধানসভা নির্বাচনে প্রার্থিতালিকা ঘোষণা করেছে। সেই তালিকায় নাম ছিল না প্রশান্ত কিশোরের। নির্বাচনের আবহে বিহারের জল্পনা শুরু হয়ছিল, লালু-পুত্র তেজস্বী যাদবের বিরুদ্ধে প্রশান্ত কিশোর লড়তে পারেন। প্রশান্ত নিজেই দাবি করেছিলেন, তিনি লড়লে বৈশালী জেলার রাঘোপুর বিধানসভা কেন্দ্র থেকে দাঁড়াবেন। ওই আসনের বিদায়ী বিধায়ক তেজস্বী। ওই আসনটিতে আরজেডির জমি শক্ত রয়েছে। সেই জমিতেই আঁচড় দিতে চেয়েছিলেন জন সুরাজ পার্টির প্রশান্ত। রাঘোপুর ছাড়া বিকল্প হিসাবে আরও কেন্দ্রের কথা বলেছিলেন তিনি। সেটা হল কারগাহার। এই কেন্দ্রটি প্রশান্ত কিশোরের নিজের বিধানসভা এলাকা।

তবে জন সুরাজ পার্টি তাদের প্রার্থিতালিকায় ওই দুই কেন্দ্রের জন্য প্রার্থীর নাম ঘোষণা করেছে। সেখানে নাম নেই প্রশান্তের। রাঘোপুর কেন্দ্রের জন্য বেছে নেওয়া হয় চঞ্চল সিংহকে আর কারগাহার কেন্দ্র থেকে জন সুরাজ পার্টির টিকিটে লড়বেন রীতেশ রঞ্জন। তার পরই কিছুটা স্পষ্ট হয়ে যায়, এ বারে আর নির্বাচনী হাতেখড়ি হচ্ছে না প্রশান্তের। তার পরেও ধোঁয়াশা ছিল প্রশান্তের নির্বাচনী লড়াই নিয়ে। বুধবার নিজেই সব জল্পনার অবসান ঘটিয়ে জানিয়ে দিলেন, এ বারের ভোটে তিনি লড়বেন না। বরং সাংগঠনিক কাজে তিনি মনোনিবেশ করবেন। 

প্রশান্ত কিশোরের ভোটে লড়াই না করার সিদ্ধান্তের নেপথ্যে দলের কিছু ব্যাখ্যা দেওয়া হয়েছে। জন সুরাজ পার্টির দাবি, যদি প্রশান্ত কোনও কেন্দ্র থেকে লড়াই করেন, তবে তাঁকে শুধু সেই এক জায়গায় আটকে থাকতে হবে। দল তা চায় না। বিহারের বিধানসভা নির্বাচনে জন সুরাজ পার্টির প্রতিটি প্রার্থীর হয়ে তিনি প্রচার করবেন, লড়বেন।

সংবাদ সংস্থা পিটিআই-কে প্রশান্ত বলেন, ‘‘জন সুরাজ পার্টি সিদ্ধান্ত নিয়েছে ভোটে প্রতিদ্বন্দ্বিতা না-করে আমার সাংগঠনিক কাজে মনোনিবেশ করা উচিত।’’ শুধু তা-ই নয়, এ বারের বিহারের ভোটে এনডিএ-র ‘পরাজয়’ হবে বলেও দাবি করেছেন প্রশান্ত। তিনি মনে করেন, নীতীশ কুমারের দল জেডিইউয়ের ২৫টি আসনে জেতা চাপ আছে। তাঁর কথায়, ‘‘বিহার থেকে বিদায় নেবে এনডিএ। মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে আর ফিরে আসবেন না নীতীশ কুমার।’’ তবে কে মুখ্যমন্ত্রী হবেন, তা নিয়ে কিছু মন্তব্য করেননি প্রশান্ত কিশোর। 

এ বার বিহারের ২৪৩টি বিধানসভা আসনে মোট দু’দফায় ভোট হবে। প্রথম দফার নির্বাচন হবে ৬ নভেম্বর। ওই দফায় ১২১টি বিধানসভা কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ হবে। ১০-১৭ অক্টোবর পর্যন্ত মনোনয়ন জমার পর তা পরীক্ষা হবে ১৮ অক্টোবর। প্রথম দফার ভোটের প্রার্থীরা নাম প্রত্যাহার করতে পারবেন ২০ অক্টোবর পর্যন্ত। ১১ নভেম্বর দ্বিতীয় দফায় মোট ১২২টি আসনে ভোটগ্রহণ হবে। ওই দফার গেজেট বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হয়েছে ১৩ অক্টোবর। ২০ অক্টোবর পর্যন্ত মনোনয়ন জমা করা যাবে। ২৩ অক্টোবর পর্যন্ত প্রার্থীরা চাইলে নাম তুলে নিতে পারবেন। বিহারের মসনদে কে বসবেন, সেই ভাগ‍্য নির্ধারণ হবে ১৪ নভেম্বর।


Share