লাল বলের দেশে লাল সূর্যোদয়
ইংল্যান্ডের গা ছমছমে পরিবেশেও সূর্য উঠে আজ ভারতের নামে। লিডসের পিচে যখন গনগনে রোদ, তখন যশস্বীর ব্যাট যেন আলো ছড়াচ্ছিল। আর শুভমন? তিনি তো শুধু অধিনায়ক নন, সাহস ও স্থিরতার নতুন নাম।
যশস্বী শতরান করলেন ইনজুরির মাঝেও, মাথা নোয়ালেন না একবারও। অন্যদিকে শুভমন যেন সময়কে থমকে দিলেন ব্যাটের ছন্দে। রাহুলের সাবলীলতা, পন্থের আত্মবিশ্বাস — সব মিলে প্রথম দিনে ভারতের জয়যাত্রা শুরু। স্টোকসদের কৌশল এলোমেলো, আর গিল-পন্থের ব্যাটে ছড়ালো ভারতীয় প্রত্যাঘাতের কাব্য।
যখন বিরাট নেই, রোহিত নেই — তখন কে সামলাবে চাপ? যশস্বী বুঝিয়ে দিলেন, শৃঙ্খলা আর স্কিল থাকলে বড় ম্যাচে আলো ছড়ানো যায়। শুভমন, অধিনায়ক হয়েও কী দারুণ ভাবে নিজেকে মেলে ধরলেন!
তরুণ ভারতীয় দল যেভাবে প্রথম দিনে খেলল, তাতে ভবিষ্যতের জন্য আশার আলো অনেক উজ্জ্বল। টস হারাই যেখানে আশীর্বাদ, সেখানে পন্থের ব্যাটিং ছিল বার্তা — "আমি এখনও আছি"। এমন দিন খুব একটা দেখা যায় না টেস্টে, যেখানে প্রতিটি বিভাগে এতটা পরিণত India।

সিরিজ শুরুর আগে অনেকেই বলছিল, ভারতীয় দলটা খুব কাঁচা। কিন্তু লিডসে নামতেই যশস্বী-শুভমনের ব্যাটে সোজা মাটিতে মিশে গেল ইংরেজ বোলিং লাইনআপ। যশস্বী খেললেন ইনজুরি নিয়েও, আর গিল একেবারে কোহলির স্টাইলে মাঠ মাতালেন।
আর পন্থ? আইপিএলে খারাপ খেললেও এখানে সেই পুরনো ভয়ঙ্কর পন্থ ফিরে এলেন। যারা ভাবছিলেন ভারত চাপে পড়বে, তাদের একদম চুপ করিয়ে দিল প্রথম দিনের স্কোরবোর্ড — ৩৫৯/৩! এই ইনিংসটি ভারতের জন্য ঐতিহাসিক, কারণ ইংল্যান্ডে টেস্ট ম্যাচের প্রথম দিনে ভারতের এটিই সর্বোচ্চ স্কোর। শুভমনের নেতৃত্বে ভারতীয় ব্যাটাররা ইংরেজ বোলারদের শাসন করে প্রথম দিনেই ম্যাচে নিয়ন্ত্রণ নেয়।
Share