School Building Collapse At Indonesia

নমাজ পড়ার সময় মাথার ওপর ধসে পড়ল বেআইনি স্কুলবাড়ি, ইন্দোনেশিয়ার ঘটনায় মৃত এক, আটকে অন্তত ৬৫ জন পড়ুয়া

সোমবার দুপুরে পূর্ব জাভার সিদোয়ারজো শহরের আল খোজিনি ইসলামিক বোর্ডিং স্কুলের ছাত্রেরা নমাজ পড়ার জন‍্য জড়ো হয়। একশো জনের বেশি পড়ুয়া তাতে অংশ নিয়েছিল। তাদের বয়স ১২ থেকে ১৭ বছরের মধ্যে। নমাজপাঠ শুরু হতেই আচমকা ধসে পড়ে স্কুলবাড়িটি।

উদ্ধার কাজ চালিয়ে যাচ্ছে প্রশাসন।
নিজস্ব সংবাদদাতা।, দিল্লি
দিল্লি
  • শেষ আপডেট:৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৫ ১২:১২

নমাজ পড়ার সময়ই হুড়মুড়িয়ে ভেঙে পড়ল গোটা স্কুলবাড়ি। ইন্দোনেশিয়ার একটি ইসলামিক স্কুলে ঘটনাটি ঘটেছে। সংবাদ সংস্থার খবর অনুযায়ী, ধ্বংসস্তূপের নীচে কমপক্ষে ৬৫ জন পড়ুয়া চাপা পড়েছে। আপাতত এক পড়ুয়ার মৃত্যু হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। তবে মৃতের সংখ্যা বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

সোমবার দুপুরে পূর্ব জাভার সিদোয়ারজো শহরের আল খোজিনি ইসলামিক বোর্ডিং স্কুলের ছাত্রেরা নমাজ পড়ার জন‍্য জড়ো হয়। একশো জনের বেশি পড়ুয়া তাতে অংশ নিয়েছিল। তাদের বয়স ১২ থেকে ১৭ বছরের মধ্যে। নমাজপাঠ শুরু হতেই আচমকা ধসে পড়ে স্কুলবাড়িটি। এর জেরে আটকে পড়ে বহু পড়ুয়া। উদ্ধারকাজ এখনও চলছে। পুলিশ, সেনাবাহিনী এবং বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী এক সঙ্গে কাজ করছে। কেউ আটকে আছে কি না, তা নিশ্চিত করতে রাতভর ধ্বংসস্তূপের ভেতরে খনন চালানো হয়েছে।

ইন্দোনেশিয়ার স্থানীয় সংবাদমাধ্যমের দাবি, স্কুল বাড়িটিতে নির্মাণকাজ চলছিল। তারা এ-ও দাবি করছে, বাড়টি বেআইনি ভাবে তৈরি হয়েছে। স্থানীয় পুলিশের মুখপাত্র জুলস আব্রাহাম আবাস্ত জানান, “যে বাড়িটিতে সবাই নমাজ পড়ছিল, সেটি একটি নির্মীয়মান ভবন। সেটির অনুমতিও ছিল না। সম্প্রসারণের কাজ চলাকালীন সেখানে দুপুরের নামাজ পড়ছিল ছাত্রেরা।  তখনই আচমকা ভবনটি তাদের ওপর ধসে পড়ে।”

আপাতত এক নিহত ছাত্রের দেহ উদ্ধার করা গিয়েছে। ভিতরে আটকে থাকা পড়ুয়াদের জন‍্য জল এবং অক্সিজেন সরবরাহের ব্যবস্থা করা হয়েছে। সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যম ‘দ্য হিন্দু’ অনুসারে, ধ্বংসস্তূপের নীচে জীবিত বা মৃত অবস্থাতে আটকে রয়েছে অন্তত ৮৩ জন ছাত্র। তাদের নিকটবর্তী দু’টি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। জখমদের মধ্যে কয়েক জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে দাবি করা হচ্ছে। উদ্ধারকারীরা জানিয়েছেন, বহু মৃতদেহ এখনও আটকে রয়েছে। তাদেরকে উদ্ধার করার চেষ্টা চলছে। মৃতের সংখ্যা উল্লেখযোগ্য ভাবে আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করছে তারা।


Share