পাকিস্তানের পঞ্জাব প্রদেশে সংখ্যালঘু আহমদিয়া সম্প্রদায়ের প্রায় আশি বছরের পুরোনো একটি উপাসনালয় ভেঙে দেওয়ার অভিযোগ উঠল স্থানীয় পুলিশ এবং একটি ইসলামি দলের সদস্যদের বিরুদ্ধে। শুক্রবার লাহোর থেকে প্রায় ১০০ কিলোমিটার দূরে শিয়ালকোটের ডাসকা কালানে অবস্থিত এই উপসনালয়টি ভেঙে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। ঘটনাটির তীব্র সমালোচনা করেছে দেশের সংখ্যালঘু সম্প্রদায়।?
জামাত-ই-আহমাদিয়া পাকিস্তানের দাবি, পাকিস্তানের স্থানীয় প্রশাসন ধর্মীয় চরমপন্থীদের চাপে আহমদিয়াদের এই উপাসনালয়টি সম্পূর্ণভাবে ভেঙে দিয়েছে। অভিযোগ উঠেছে, শুক্রবার রাতে তেহরিক-ই-লাব্বাইক পাকিস্তান (টিএলপি)-এর সদস্যরা স্থানীয় কর্তৃপক্ষের মদতে এই জঘন্য অপরাধ করেছে। জেএপির অভিযোগ, এর ফলে আহমদিয়াদের ধর্ম পালনের মৌলিক অধিকার থেকে বঞ্চিত করা হয়েছে। উল্লেখ্য, গত বছর আহমদিয়াদের ২২টি উপাসনালয়ে হামলার ঘটনা ঘটেছিল।?
জেএপি-র অভিযোগ, কর্তৃপক্ষের এই বিচারবহির্ভূত পদক্ষেপের জন্য পাকিস্তানের বদনাম হচ্ছে। প্রান্তিক জনগোষ্ঠীকে নিপীড়ন করার মাধ্যমে কর্তৃপক্ষ বার্তা পাঠাচ্ছে যে তারা পাকিস্তানের দুর্বল সম্প্রদায়ের বিষয়ে সামান্যতম চিন্তা করে না এবং সংখ্যালঘুরা এখানে নিরাপদ নয়। তাদের বক্তব্য, এটি বিচারবহির্ভূত পদক্ষেপ।?
ভবিষ্যতে এই ধরনের পদক্ষেপ থেকে বিরত থাকার জন্য দেশের সরকারের কাছে দাবি জানিয়েছে সংগঠনটি। উল্লেখ্য, গত বছরের সেপ্টেম্বর মাসে পাকিস্তানে পঞ্জাব প্রদেশের বিভিন্ন অংশে আহমদিয়াদের কবরস্থানগুলির ওপর হামলা চালানো হয়েছিল। পুলিশ এবং টিএলপির সদস্যরা কবরের পাথরের উপর আঁকা পবিত্র শিলালিপি কালো রঙ লাগিয়ে দিয়েছিল।?
পাকিস্তানের আহমদিয়া সম্প্রদায়ের ওপর প্রায়ই হামলা চালানো হয়। যদিও তারা নিজেদেরকে মুসলমান মনে করে। যদিও পাকিস্তানের সংসদ ১৯৭৪ সালে সম্প্রদায়টিকে অমুসলিম হিসাবে ঘোষণা করেছে। এ ছাড়াও তাদের ইসলামিক আচার অনুশীলন করতেও বাধা দেওয়া হয়ে থাকে। সংগঠনের অভিযোগ, ধর্মীয় চরমপন্থীরা পাকিস্তানে আহমদিয়াদের বিরুদ্ধে তাদের ঘৃণামূলক প্রচার বাড়াচ্ছে। যার ফলে কর্মক্ষেত্রে হয়রানি, চাকরি থেকে বরখাস্ত এবং আহমদিয়া সম্প্রদায়ের দোকানদারদের বয়কট করার জন্য নিয়মিত ইসলামি সংগঠনগুলি আহ্বান জানাচ্ছে।?
Share